বাংলা সঙ্গীতজগতের অন্যতম ধ্রুবতারা আইয়ুব বাচ্চু লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার এই চলে যাওয়া যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের সকলের কাছেই যেন এটি আকস্মিক একটি ধাক্কা। ফলে এই মৃত্যু পুরো সংগীতাঙ্গনে নিয়ে এসেছে শোকের ছায়া।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম অগ্রপথিক আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে আসেন সংগীত, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা। এই কিংবদন্তি শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান তার শত-সহস্র ভক্তও।
এসময় আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার সংগীতাঙ্গনের সহকর্মীরা।
গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু রয়েছেন জনপ্রিয়তার মধ্যগগনে। তাকে হারিয়ে ব্যান্ডের গানে হাহাকার সৃষ্টি হলো। সংস্কৃতি অঙ্গনে কালো ছায়া নেমে এলো। তরুণ প্রজন্ম তার থেকে শিক্ষা নেবে সেটাই আশা করছি।’
সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। তিনি সবসময় স্টেজ শো শেষে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সংগীত গাইতেন। এটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক বড় গুণ।’
আইয়ুব বাচ্চু ক্ষণজন্মা ছিলেন উল্লেখ করে পপ তরকা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘গানের জগতের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো। তার চলে যাওয়ার ক্ষতি আর কখনোই পূরণ হবে না।’
ব্যান্ডদল ‘সোলস’র পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘কখনোই ভাবিনি বাচ্চু ভাই চলে যাবেন। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন। আমাকে তৈরি করেছেন। গিটার শিখিয়েছেন। গান করতে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন। ওনার মতো গিটারিস্ট বাংলাদেশ আর আছে কি-না আমার জানা নেই। সংগীতাঙ্গন অনেক বড় এক সম্পদ হারালো।’
প্রমিথিউস ব্যান্ডের কর্ণধার খালিদ করিম বিপ্লব বলেন, 'মেনে নিতে পারছি না বাচ্চু ভাই নেই, মানুষ চলে যাবে কিন্তু এভাবে অসময়ে কেন রাজা চলে গেলেন, রাজার মতো করে।'
‘আর্ক’ ব্যান্ডদলের হাসান বলেন, ‘এ ক্ষতি পূরণ হবার মতো নয়। তিনি ছিলেন সংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র।’
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘যখন সংগীতের নতুন একটি ধারা তৈরি হচ্ছিলো ঠিক তখন বাচ্চু ভাই চলে গেলেন। সংগীতে বড় একটা শূন্যতা তৈরি হলো।’
সঙ্গীতশিল্পী তাহসান লিখেছেন,
বিধাতা যখন তোমার হাতে
কোটি হৃদয়ে আন্দোলন
ফিরিয়ে নিলো সেই বিধাতা
আজ বুক চিরে শুধু আস্ফালন
বাচ্চু ভাই এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম