সাংস্কৃতিক মুক্তির দিগন্তে দাঁড়িয়ে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সদাজাগ্রত আবৃত্তি সংগঠন-সংবৃতা। ‘স্বপ্নের আগে জীবনকে রাখো চেতনার সম্মুখে’ স্লোগানে এই সংগঠনটির নিয়মিতভাবে আয়োজন করে আসছে আবৃত্তি অনুষ্ঠান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ পর্বেল আয়োজন। যার শিরোনাম-‘আপন পথের যাত্রী’।
সম্প্রতি শ্রাবণের বৃষ্টি সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। যাতে অংশ নিয়েছেন পাঁচ তরুণ বাচিকশিল্পী-সামসুজ্জামান বাবু, সুলতানা ইয়াসমিন রিমু, তরিকুল ফাহিম, নূর-ই-জান্নাত জুইন এবং ত্রপা চক্রবর্তী।
শুরুতেই ত্রপা চক্রবর্তী পাঠ করে শোনান মহাদেব সাহার ‘ফিরে দাও রাজবংশ’ কবিতাটি। এর পর প্রায় দুই ঘন্টার আয়োজনে তিনি আরও পাঠ করেন বুদ্ধদেব বসুর ‘কবি মশাই’, শুভদাস গুপ্তের ‘আমি সেই মেয়ে’, অরুন সরকারের ‘আসল রাজা’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর পত্র’।
সামসুজ্জামান বাবু পাঠ করেন দাউদ হায়দারের ‘সেই কথা বলা হলো না’, কাজী নজরুলের ‘অভিবাসন : যদি আর বাঁশি না বাজে’, ভাস্কর চৌধুরীর ‘আমার বন্ধু নিরঞ্জন’, আশরাফুল আলমের ‘রণাঙ্গণের চিঠি’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘যদি নির্বাসন দাও’।
সুলতানা ইয়াসমিন রিমু পাঠ করেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের ‘জীবন যাপন ২’, মিনার মনসুরের ‘কি জবাব দেবো’, রফিক আজাদের ‘প্রতীক্ষা’, শামসুর রাহমানের ‘যদি আর ফিরে না আসো’ ও রিয়াজ মাহমুদের ‘রেণুর জন্য শোকগাঁথা’।
তরিকুল ফাহিম পাঠ করেন আবুল হাসানের ‘আমি অনেক কষ্টে আছি’, হুমায়ূন আজাদের ‘বিজ্ঞাপন : বাংলাদেশ ১৯৮৬’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, রবিউল হুসাইনের ‘দুইটি নদীর গল্প’ ও মাহবুবুল আলমে ‘স্বাধীনতা তুমি কার স্বাধীনতা’।
নূর-ই-জান্নাত জুইন পাঠ করেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘মন্দির ও মসজিদ’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘না পাঠানো চিঠি’, অনিন্দ্য অমাতের ‘চেতনা যখন খাবার টেবিলে’, শুভদাস গুপ্তের ‘নাগরদোলা’ ও মহাদেব সাহার ‘নিজস্ব অ্যালবাম’। এছাড়াও তরিকুল ফাহিম ও ত্রপা চক্রবর্তী দ্বৈত কণ্ঠে পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’র অংশ বিশেষ।
বিডি প্রতিদিন/০১ আগস্ট, ২০১৯/আরাফাত