২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে যে সকল মামলা হয়েছে। সেগুলো আদালতের চলমান সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় প্রচলিত হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এসেছিল সেগুলো আদালতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমেই বাতিল হয়েছে। বাতিল হয়েছে এই কারণে নয় যে, তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। মামলাগুলো আদালতে যে প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তকে সম্মুখীন হতে হয়, সেভাবেই আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে মোকাবেলা করে ওই মামলার যৌক্তিকতা যে নেই, সেটা আদালতে প্রমাণিত হয়েই বাতিল হয়েছে।
যদি আওয়ামীলীগ স্বাধীন বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপই করত, তাহলে খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে ভৈরব সেতুর মামলা কিভাবে একই প্রক্রিয়ায় বাতিল হলো?
খালেদা জিয়া যদি এতিমের টাকা চুরির মামলাটিও মোকাবিলা করতেন, তাহলে এই মামলার কোন মেরিট না থাকলে এ মামলাও বাতিল হয়ে যেত। কিন্তু যেহেতু এই মামলার মেরিট ছিল। তাই ২০০৮ সালে দায়ের করা এ মামলাটিকে প্রতিহত করার জন্য খালেদা জিয়া ও তাঁর আইনজীবীগণ সুচতুরভাবে আদালতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আদালতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। বারং বার তারিখ নিয়েছেন। এজন্যই খালেদা জিয়াকে এ মামলায় বার বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে পেট্রোল বোমার রাজনীতি করে ক্ষমতায় বসবেন এমন দিবাস্বপ্ন দেখে ভেবেছিলেন ক্ষমতায় আসলে তাঁরা এসব মামলাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। হাস্যকর বিষয় এই যে, যারা বলেন, শেখ হাসিনার মামলা উধাও হয়ে গেল। খালেদা জিয়ার মামলা রাজনৈতিক, এমন একটি কথা শোনা যায়। অথচ ভৈরব সেতুর মামলায় যৌক্তিকতা ও কোন ধরণের প্রমাণ না থাকার কারণে আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভৈরব সেতু মামলাকে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বাতিল করে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডিপ্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান