প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল থেকে যে টাকা বেআইনী ভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে তার পরিমাণ ১.২ মিলিয়ন ডলার। মনে রাখবেন, এই টাকা এসেছিল ১৯৯১ সালে, যা দিয়ে তখন গুলশানে যে পরিমাণ জমি কেনা যেত তার আজকের (২০১৮) বাজার মূল্য ২৫০ কোটি টাকা।
যারা চুরি করে, তাদের টাকা কোথাও না কেথাও থাকেই, তার মানে তো আর বলা যাবে না যে চুরি হয়নি। হলমার্কের তানভীর সোনালী ব্যাংকের টাকা চুরি করেছিল (যদিও মামলাটি বিচারাধীন), কিন্তু সে টাকাও তো তার কাছে ছিল, তার কোনো না কোনো অ্যাকাউন্টে ছিল। তাহলে কি বলা যাবে হলমার্কের তানভীর টাকা চুরি (অভিযোগ আকারে) করেনি, টাকা এখনও তার অ্যাকাউন্টে আছে?
বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা যারা চুরি করেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারাও তো একই কথা বলছে, টাকা চুরি করেনি, টাকা তাদের কাছে বা অন্যের কাছে আছে।
যেখানেই চুরি হয়েছে তারই প্রতিবাদ আমরা করেছি। ব্যাংকগুলোতে যত অনিয়ম হয়েছে সবগুলোর প্রতিবাদ করেছি, বিচার চেয়েছি। তবে যেখানে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এসেছে সেখানে আবার সত্যকে তুলে ধরেছি যেমন পদ্মাসেতুর বেলায়। অথচ বিএনপি-জামায়াত পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা করেছে। রাষ্ট্রের এতিম তহবিল থেকে এতিমের টাকা চুরি কে ডিফেন্ড করা নির্লজ্জতা। ইনিয়ে বিনিয়ে চুরি কে ডিফেন্ড করা থেকে বিরত থাকুন।
জিয়া অরফানেজের প্রকৃত তথ্য:
অরফানেজ গঠনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রয়োজন হয় যা জিয়া অরফানেজের নেই।
কমপক্ষে ১০ জন এতিম থাকতে হয় যা জিয়া অরফানেজের নেই বা ছিল না।
অথচ, রাষ্ট্রীয় এতিম তহবিল থেকে রাষ্ট্রের অর্থ তাদের বেআইনিভাবে দেয়া হয়েছিল।
ব্যাক্তিগত ঠিকানায় এতিমখানার ঠিকানা দেয়া যায় না, কিন্তু জিয়া এতিমখানার ঠিকানা দেয়া ছিল ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের খালেদা জিয়ার বাসভবন।
সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হল, ১৯৯৩ সালে এতিমখানার নাম ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের প্রায় ২৫ বছর পরও ২০১৮ সালে সারা দেশে এতিমখানার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা পরবর্তীতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে নিজের মুখে স্বীকার করেন।
এত মিথ্যাচার, এত অন্যায়ের পরেও বিএনপিকে কিভাবে বিশ্বাস করা যায়? যারা বিএনপির সাফাই গাইতে আসেন তাদের কি সামান্য লজ্জাও হয় না?
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/০৩ ফেব্রয়ারি ২০১৮/আরাফাত