৩১ মে, ২০২০ ১৬:৩৬

যেভাবে যাবেন আদিনাথ মন্দির

মো. বেলাল হোসেন

যেভাবে যাবেন আদিনাথ মন্দির

সংগৃহীত ছবি

আদিনাথ মন্দির,  কার না অজানা। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু সকল মানুষের কাছে এটি একটি দর্শনীয় স্থান। যদিও এটি হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় উপাসনালয়; তথাপি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভিড় এখানে। দেশীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে সারা বছর। তবে করোনাকালে সেখানকার চিত্র এখন ভিন্ন। এইতো সেদিন আমিও সেখানে সস্ত্রীক ঘুরে এলাম। 

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরখঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে আদিনাথ মন্দির অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে আদিনাথ মন্দিরের দূরত্ব ১৭.১ কিলোমিটার। মন্দিরটি সমুদ্রস্তর থেকে ৮৫.৩ মিটার উঁচু মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। মন্দিরের দৈর্ঘ্য ১০.৮৭ মিটার, প্রস্থ ৮.৬২ মিটার, উচ্চতা ৫.৯৩ মিটার। তিনভাগে বিভক্ত এই মন্দিরের প্রথমভাগে ৩.৩৫ মিটার বর্গাকৃতির দুটো পূজা কক্ষ রয়েছে। পূর্বকক্ষে বাণলিঙ্গ শিবমূর্তি আর পশ্চিম কক্ষে অষ্টভূজা দূর্গা মূর্তি। পাহাড়ের ঢাল কেটে বানানো ৬৯টি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয় মন্দিরে। শিবের সাথে মন্দিরের একটি গভীর সম্পর্কের কথা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে থাকেন।

কীভাবে যাবেন সেখানে?

আপনি যদি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে আসতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে কক্সবাজার থেকে রিকশা বা অটোতে কস্তুরী ঘাট অথবা ৬ নং ঘাটে আসতে হবে। এখান থেকে আপনি ট্রলার, স্পিডবোটে মহেশখালী উপজেলায় আসতে পারবেন। স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৭৫ টাকা বর্তমানে এবং সময় লাগতে পারে ২৫-৩০ মিনিট। আপরদিকে কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলা দিয়ে মহেশখালীতে আসতে পারেন ট্যাক্সি, সিএনজি এবং ব্যক্তিগত গাড়িযোগেও। চকোরিয়া উপজেলা থেকে আদিনাথ মন্দিরের দূরত্ব ৪৮.৯ কিলোমিটার। 

কি খাবেন?  
আপনার পছন্দমতো সবকিছুই খেতে পারেন এখানে। তবে সবকিছু খাবার পর অবশ্যই মহেশখালীর ডাব এবং পান খেতে ভুলবেন না। কারণ এ দু'টি মহেশখালীর খুবই বিখ্যাত। যদিও আমি মহেশখালীর পান খাইনি কারণ আমি কখনো পান খাই না। তবে ডাব খেয়েছি অনেক। আপনারা যারা পান খেতে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই খাবেন।

কোথায় থাকবেন?  
থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ হচ্ছে কক্সবাজার জেলা সদর। তবে চাইলে মহেশখালী ও চকোরিয়া উপজেলায় থাকতে পারবেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর