সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

মোহাম্মদপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ সালামের মৃত্যু

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা উত্তর এলাকায় গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোহেল নামে (৩২) স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, গতকাল রাতে ঢাকা উদ্যানে বাসার সামনে সোহেল দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসী শফিক, ইলেকট্রিক মনির, শরীফ, বদরুলসহ কয়েকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সোহেলের বাবার নাম আবদুল মান্নান। বাসা ঢাকা উদ্যানের প্লট-৪৯, রোড-২ ও ব্লক-এতে। পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে ঢাকা উদ্যানে এক তরুণীকে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করলে সোহেল এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এর পর থেকে বখাটেরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ ঘটনায় বদরুল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাড্ডায় গুলির ঘটনায় টানা নয় দিন ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মারা গেছেন আবদুস সালাম (৪০)। গতকাল রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধ্যবাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্প এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা এবং তার সঙ্গে থাকা ছয় নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামসু মোল্লা, স্থানীয় ক্লিনিকের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ মানিক ও যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর শামসু মোল্লা ও ফিরোজ আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরদিন গামাও মারা যান। আর আবদুস সালামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালামও রাত ১১টায় মারা যান। এ ঘটনার ১৫ আগস্ট রাত ১২টার দিকে গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৬ আগস্ট মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ দাবি করেছে, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে অংশ নেন আটজন। এর মধ্যে তিনজন ছিল অস্ত্রধারী। ১৬ আগস্ট মধ্যরাতেই বাড্ডা ও ভাটারায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেন মিলন ও নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের দাবি, আটজনের মধ্যে হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ ফারুক হোসেন মিলন ও ‘কিলিং মিশনে’ অংশে নেওয়া নূর মোহাম্মদ। এ ছাড়া গাজীপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় এক আসামি।

সর্বশেষ খবর