ফ্লোরিডার ব্রাওয়ার কাউন্টির পার্কলেন্ডে মারজরি স্টোনমেন ডগলাস হাইস্কুলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে হতাহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নেই। স্থানীয়

পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘বাই ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স’-এর নির্বাহী সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক এনআরবি জানান, ওই এলাকায় বাংলাদেশিদের বসতি নেই। মূলত শ্বেতাঙ্গরাই বাস করে এবং ঘাতক হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ১৯ বছর বয়সী নিকলাস ক্রুজও শ্বেতাঙ্গ। নিকলাস এই হাইস্কুলের ছাত্র ছিল এবং মাস্তানিসহ নানাবিধ কারণে তাকে সাসপেন্ড করা হয় বলে স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তা স্কট ইসরাইল গণমাধ্যমকে অবহিত করেন। এনআরবি নিউজ। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভ্যালেন্টাইন দিবসের আনন্দ এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মাটি হয়ে গেছে। এআর-১৫ রাইফেলের গুলিতে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনই স্কুল ভবনে ছিল। অন্যরা স্কুলের সামনে ও রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে পুলিশের ধারণা। তবে হত্যাযজ্ঞে অন্য কেউ জড়িত বলে পুলিশ মনে করছে না।

 বিশেষ করে ব্যাকপ্যাকসহ ক্রুজকে স্কুল প্রাঙ্গণে না আসার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কী কারণে সে এমন নৃশংসতা চালিয়েছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে। পুলিশ আরও জানায়, হতাহতের ঘটনার পর ছোটাছুটি করে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন স্কুল থেকে বাইরে যাচ্ছিল, ঘাতকও তাদের সঙ্গে মিশে যেতে চেষ্টা করে। কিন্তু তার কাপড়ে রক্তের ছাপ থাকায় পুলিশের দৃষ্টি এড়াতে সক্ষম হয়নি। গ্রেফতারের পরই নিকলাসকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পরই পুলিশের কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে বলে ব্রাউয়ার্ড কাউন্টি পুুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। চলতি বছর এ নিয়ে আটটি স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটল। কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রের গুলিতে ২ সহপাঠী নিহত এবং আহত হয় ১৮ জন।