বুধবার, ১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

এরশাদের বনানী কার্যালয় থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বনানী কার্যালয়ের তালা ভেঙে ৪৩ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ের তালা ভেঙে চুরি করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পার্টির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। আর এত টাকা বনানী অফিসের কোন রুমে আছে চোর জানল কীভাবে? গত সপ্তাহে পার্টির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ বিষয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বনানী অফিসে জানান, পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের রুমে থাকা সিন্দুক ভেঙে ৪৩ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। স্টাফদের বেতনসহ কার্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য রাখা ছিল। এ ছাড়াও এইচ এম এরশাদ রংপুরে বাড়ি তৈরি কাজে কিছু টাকা ব্যয় করার কথা ছিল। সকালে কিছু টাকা নিয়ে রংপুর যাওয়ার কথা ছিল। দুর্বৃত্তরা আরও তিনটি রুমের তালাও ভেঙেছে। তদন্ত শেষ হলে অফিসের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ভবনে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা বিকল ছিল। তবে অফিসের সামনে অনেক সিসি ক্যামেরা আছে। চুরি কারা করেছে, তা সহজেই ধরা যাবে বলে ধারণা। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোকলেসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক একটি তদন্ত করেছি। এ ঘটনায় ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুজন গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বনানীর ১৭/এ সড়কের ৭৫ নম্বর বাড়িতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়। এখানে অফিস করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার ভোরে কার্যালয়টিতে এসে তালা ভাঙা দেখতে পান কর্মকর্তারা। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বনানী অফিসের ভিতরে সিআইডির একটি টিম অফিসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করছে। এ সময় মিডিয়াকর্মী ও পার্টির কোনো নেতা-কর্মীকে পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করতে দেননি। বনানী অফিসে ঢুকতেই ডান পাশের একটি রুমে এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম বসেন। তার রুমের তালা ভেঙে সিন্দুক থেকে ৪২ লাখ এবং ড্রয়ার থেকে এক লাখ টাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর। একই সময়ে নিচতলায় এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব মেজর অব. খালেদ আখতার ও মহাসচিবের রুমের তালা ভাঙলেও তাদের রুম থেকে কোনো টাকা চুরি হয়নি। বনানী থানা পুলিশ সন্দেহভাজন অফিসের দারোয়ান ওয়াহিদ ও ফেরদৌস এবং অফিসের কম্পিউটার অপারেটর রিপনকে থানায় নিয়ে যায়। পার্টির নেতা-কর্মী ও অফিস স্টাফরা বলছেন কম্পিউটার অপারেটর রিপনকে শুধুই সন্দেহবশত পুলিশ নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে এইচ এম এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব মেজর অব. খালেদ আখতার বলেন, যারাই জড়িত থাকুক না কেন দুই দিনের ভিতরেই ধরা পড়বে আশা করি।

সর্বশেষ খবর