শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকি করছেন ডা. জোবাইদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও ‘মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ’ করছেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লন্ডনে থেকে তাঁর চিকিৎসার পুরো কার্যক্রম তদারিক করছেন পুত্রবধূ ও তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। তিনি শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হলেও পারিবারিক পরিবেশে এখন স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁর মানসিক শক্তিও বেড়ে গেছে। আগে যে বিপর্যস্ত চেহারা ছিল তাও অনেকটা কমে আসছে। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. জোবাইদা রহমান ম্যাডামের পুরো চিকিৎসার কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। গত বুধবার সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’য় আসেন খালেদা জিয়া। বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত। ‘ফিরোজা’র দোতলায় খালেদা জিয়া ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাঁর সঙ্গে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন দোতলায়। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ম্যাডাম প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা বলতে পারছেন, ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন যেটা সমস্যা সেটা জানাচ্ছেন। সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে তিনি সময় কাটাচ্ছেন। কখনো শুয়ে, কখনো বসে, কখনো বই-পত্রিকা পড়ে। চিকিৎসার বিষয়ে অধ্যাপক জাহিদ জানান, বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া ওষুধপত্রের কিছুটা সংশোধন, পরিবর্তন এনেছেন ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিম। ম্যাডামের হাত-পায়ে প্রচ- ব্যথা রয়েছে। রিউমাটিজ আর্থারাইটিজের কারণে হাত-পায়ের জয়েন্টে গুটলি হয়েছে। এগুলো তাঁকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে, প্রচ- ব্যথা। ব্যথা উপশমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওষুধে কিছুটা পরিবর্তন ও সংযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, কারাগারের নির্জনতার কারণে ম্যাডাম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি অনেকটা শুকিয়ে গেছেন, দুর্বলতাও রয়েছে তাঁর। ওজনও ৯/১০ কেজি কমে গেছে। আমরা আশাবাদী কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসায় তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবেন। একটা সিস্টেমের মধ্যে চলে এলে তাঁর ডায়াবেটিকসের মাত্রাও ক্রমশ কমে আসবে। বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডের ব্যবস্থাপত্র ও পরীক্ষার কাগজপত্রগুলোর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ। ফিরোজায় এখন মেডিকেল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের টিমের সদস্য ও নিকট আত্মীয়স্বজনরা ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার নেই। নিরাপত্তা কর্মীরা সব সময় গেট বন্ধ রেখে পাহারা দিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর