রবিবার, ৩১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, গুলিতে একজন নিহত

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের ডাউন টাউনে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় গুলিতে বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ডেট্রয়েট পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত নয়। এদিকে এসব ঘটনায় যখন উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্র। তখন কেনটাকির লুইসভিলে বিক্ষোভের খবর সরাসরি সম্প্রচার করার সময়, পুলিশ একজন টেলিভিশন প্রতিবেদক এবং তার ক্যামেরাম্যানকে আঘাত করা হয়েছে। টিভি ফুটেজে দেখা  গেছে, এই জুটিকে (প্রতিবেদক এবং ক্যামেরাম্যান) বারবার রাবার বুলেটের দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে মিনিসোটার মিনিয়াপোলিসে চলা বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচারের সময় সিএনএনের এক সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনা চলছে। শুক্রবার  ভোরের দিকে লাইভ সম্প্রচারের মধ্যেই ওমর জিমিনেজ নামের ওই সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া লাগে। তার সঙ্গে তার ক্যামেরাম্যান ও প্রযোজককেও পুলিশ আটক করে। পুলিশ পরে তিনজনকেই ছেড়ে দিয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনা হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। সিএনএন বলেছে, লাইভ সম্প্রচারের সময় সাংবাদিক আটকের ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মার্কিন মুলুকে পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ অত্যাচার ও হত্যার অভিযোগ বহু দিনের। এরমধ্যে গত সোমবার মিথ্যা অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েড নামের কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন এক পুলিশকর্মী। ওই পুলিশের নাম ডেরেক চাউভিন। প্রায় পাঁচ মিনিট হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি। গলায় হাঁটুর চাপে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই প্রতিবাদ শুরু হয়। অবশেষে ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সোমবার ঘটে এই ঘটনা। জর্জের মৃত্যুর পর চাউভিন ছাড়া আরও তিন পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর পর প্রতিবাদ শুরু হয়েছে মিনেপলিস জুড়ে। অভিযোগ ওঠে, এই এলাকার কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশ বার বার অমানবিক আচরণ করে। এ সবের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা কয়েক শত দোকান ভাঙচুর করে। একটি পুলিশ স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। গতকালও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।

 

সর্বশেষ খবর