বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, করোনার চেয়েও মারাত্মক ভয়ানক আজকের সরকার। কারণ করোনা দল-মত জাতি বোঝে না। করোনা নিরপেক্ষ। দল-মত না বুঝে আক্রমণ করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দল বোঝে, মত বোঝে, জাত বোঝে, বংশ বোঝে। যাকে ইচ্ছা হয় তাকেই তারা আক্রমণ করে। কাজেই আওয়ামী লীগ নামের এই ভয়ঙ্কর করোনার হাত থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। রাজধানীর মোঘলটুলী এলাকায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, করোনায় মৃত্যুর চেয়ে যদি রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে মৃত্যু হয়, তাহলে ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের রাখা অবদান পরিপূর্ণ হবে। কাজেই আজকে আমরা মৃত্যুর ভয় করে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়ার চেয়ে গরিব আর কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নেই, ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই ভাড়া পরিশোধের নোটিস আসে। জিয়াউর রহমানও কিছুই রেখে যাননি। খালেদা জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বৈধ ঘোষণার পরও তিনি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। তাঁর মতো একজন ব্যক্তির কীভাবে ৫০ হাজার টাকায় চলে? কীভাবে তাঁর চিকিৎসা হয়? বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ১০ মাস বয়স হলো করোনার। ১০ মাসের মধ্যে ১০ মিনিটের জন্যও সরকারের মন্ত্রীরা নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের বাসভবন থেকে বের হননি। কিন্তু ১৮ কোটি মানুষ তো নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে বসে থাকতে পারেনি। আমাদের অনেক সিনিয়র নেতা করোনায় প্রাণ দিয়েছেন। আমিও যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারি। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়।
