অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেককে ৩০ বছর কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাহউদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন আসামি মালেক। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহীনুর রহমান বলেন, অস্ত্র মামলায় মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদন্ড দেয় আদালত। এ সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ার নির্দেশের কারণে আসামিকে সাজা ভোগ করতে হবে ১৫ বছর।

আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস আবদুল মালেক ১৯৮২ সালে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদফতরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মালেককে গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানায়, আবদুল মালেকের স্ত্রী দুজন। প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তারের নামে তুরাগের দক্ষিণ বামনার পাড়া রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ৬ কাঠা জমির ওপর সাত তলার দুটি আবাসিক ভবন রয়েছে। এতে ফ্ল্যাট আছে ২৪টি। ওই ভবনের সামনে আছে ১০ থেকে ১২ কাঠার আরেকটি প্লট। ভবনের তৃতীয় তলায় তিনি সপরিবার থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। বড় মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমির ওপর ইমন ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার আছে। এর বাইরে হাতিরপুলে পৈতৃকসূত্রে পাওয়া সাড়ে ৪ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণাধীন।