খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগে ওই অঞ্চলে বাস বন্ধ ঘোষণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সমাবেশের আগেই শুক্র ও শনিবার বাস ‘ধর্মঘট’ ডাকা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনার সঙ্গে যুক্ত ১২টি রুটে বাস-মিনিবাস বন্ধ রাখার এই ঘোষণা দিয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল ও যত্রতত্র বিআরটিসির কাউন্টার বন্ধের দাবিতে তারা এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর খুলনায় দলের তৃতীয় বিভাগীয় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। তা সফল করতে নানা পদক্ষেপ ও কৌশলও নিয়েছে বিএনপি। পথে পথে প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগের রাতেই নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। বিএনপি নেতারা বলছেন, যত বাধা-বিঘ্নই আসুক, খুলনার সমাবেশ কেউ ঠেকাতে পারবে না। গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, এ ধর্মঘট নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগদানে বাধা হতে পারবে না। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ সফল করবেন। সেই মনোবল ও মানসিকতা বিএনপি নেতা-কর্মীদের রয়েছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে ওইদিন। বিএনপির এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় জনসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ, পথসভা করেছেন নেতা-কর্মীরা। এই সমাবেশ ঘিরে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ দ্বন্দ্ব নিরসনেও উদ্যোগ নেন শীর্ষ নেতারা। জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এরপর প্রায় ১০ মাস মঞ্জু-মনি-মিঠুর সমর্থকরা দলের কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সেই মঞ্জু সমর্থক নেতা-কর্মীরাও সমাবেশে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গতকাল দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু বলেন, মঞ্জু রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। তার সঙ্গে এ বিষয়ে সব সময় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বর সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন।একটি সূত্র নিশ্চিত জানায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মুঠোফোনে মঞ্জুসহ নিষ্ক্রিয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। মঞ্জুসহ নিষ্ক্রিয় নেতাদের, দলের বৃহত্তর স্বার্থে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশ সফলের ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে তিনি তাদের অনুরোধ করেন।