বিশ্বকাপের ফাইনালে আবারও ফ্রান্স। গতকাল আল বাইত স্টেডিয়ামে মরক্কোর ফুটবল বিপ্লব থামিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো (সব মিলিয়ে চতুর্থবার) ফাইনাল নিশ্চিত করল ফরাসিরা। ম্যাচটা তারা জিতল ২-০ গোলে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২২তম বিশ্বকাপের ফাইনাল। ফরাসিরা মরক্কোর প্রতি বেশ সম্মান রেখেই খেলতে নামে গতকাল। বেলজিয়াম, স্পেন আর পর্তুগালকে যারা হারিয়েছে তাদের সমীহ করতেই হবে। তবে ম্যাচের শুরুতেই ভয়টা তাড়িয়ে দিল ফ্রান্স! খেলাটা ঠিকমতো শুরু হওয়ার আগেই এগিয়ে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পঞ্চম মিনিটে ছোট ডি বক্সে ফ্রান্সের সম্মিলিত আক্রমণটা রুখতে পারেনি মরক্কো। দুটো শট ফিরিয়ে দিলেও থিও হার্নান্দেজের শেষ শটটা রুখতে পারেনি তারা। এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এত দ্রুত আর কোনো গোল হয়নি। সেবার ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিতে ম্যাচের দুই মিনিটেই গোল করেছিলেন ব্রাজিলের ভাভা। দারুণ এই গোলের পর ফরাসিদের আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই! ১৯৮২ সালের পর বিশ্বকাপের ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে যাওয়া ফ্রান্সকে কেউ হারাতে পারেনি। ১৯৮২ সালে পোল্যান্ড হারিয়েছিল ফ্রান্সকে ৩-২ গোলে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার পরও কখনই পরাজিত হয়নি ফ্রান্স। এ ধরনের ম্যাচে ২৫ বার জয় পেয়েছে তারা। ড্র করেছে একবার। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলটা হলে মরক্কোর সমর্থকরা জয়ের আশা ছেড়ে দেন। অবশ্য ম্যাচটা জিতবেন, এমনটা জোরালোভাবে মনেই করেননি মরক্কোর সমর্থকরা। এ জন্য ম্যাচের শেষ পর্যন্ত উৎসবই করে গেলেন। নিশ্চিত পরাজয় জানার পরও। কারণ, মরক্কোর জন্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও যে অনেক বড় পাওয়া। তাছাড়া হারলেও পুরো ম্যাচে বীরযোদ্ধার মতোই লড়াই করেছেন হাকিম জিয়েচ, আশরাফ হাকিমিরা। ফ্রান্সের গোলমুখে আক্রমণে গেছেন বারবার। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। বল পজেশন ধরে রেখেছেন। এমন দারুণ খেলেও মরক্কো হারায় অনেকেই চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। কেঁদেছেন। তবে ফুটবলারদের অভিবাদন জানিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। এমন সুন্দর এক বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার জন্য। ইতালি, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং আর্জেন্টিনার পর ষষ্ঠ দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্রান্স। ইতালি ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে টানা দুবার ফাইনাল খেলে দুবারই চ্যাম্পিয়ন হয়। ব্রাজিল ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে টানা দুবার ফাইনাল খেলে দুবারই চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ সালে টানা তিনবার ফাইনাল খেলে তারা (১৯৯৪ ও ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন)। নেদারল্যান্ডস ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে টানা দুবার ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। জার্মানরা টানা তিনবার ফাইনাল খেলে ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে। আর্জেন্টিনা টানা দুবার ফাইনাল খেলে ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে। ফ্রান্সও টানা দুবার ফাইনাল নিশ্চিত করল। ২০১৮ সালে তারা ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার কী করবে? ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। যাদের গত বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করেছে ফরাসিরা।
শিরোনাম
- এপ্রিলে নির্বাচন মাথায় রেখে সময়মতো রোডম্যাপ দেবে ইসি: আসিফ মাহমুদ
- কোচ না বদলালে জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না লেভানদোভস্কি!
- তিতাসে বাকপ্রতিবন্ধী বাবার বিষপান: দুই মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
- নীলফামারীতে অভিযানে মাদকসহ প্রাইভেটকার আটক
- বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে হোঁচট, ইতালির কোচ বরখাস্ত
- কানাডায় নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর
- লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্যাপক বিক্ষোভ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
- ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস
- কলম্বিয়ার রাজধানীতে শক্তিশালী ভূমিকম্প
- সংবেদনশীলদের জন্য আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
- অভিবাসনবিরোধী অভিযানে টালমাটাল লস অ্যাঞ্জেলেস
- প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
- দেশে ফিরেছেন আব্দুল হামিদ
- খুলনায় ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- ফরাসি ওপেনে শিরোপা ধরে রাখলেন আলকারাস
- ইসরায়েলের সংবেদনশীল গোপন নথি প্রকাশ করা হবে: ইরান
- গত বছরের চেয়ে চামড়ার দাম বেশি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সহ্য করবে না: দুলু
- শাহ আমানত বিমানবন্দরে করোনা নজরদারি জোরদার
আবারও ফাইনালে ফ্রান্স
মরক্কোর ইতিহাস যাত্রা ভঙ্গ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর