বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বিগত সরকারের আমলে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শত শত প্রজেক্ট হয়েছে। অনেক ব্যয়বহুল প্রজেক্ট হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর রিটার্নের পরিমাণ খুবই নগণ্য। যা ভ্যালু ফর মানি হয়নি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরেও একই অবস্থা। এসব কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে খরচ ও দাম বেড়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গাইল মার্টিনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিমাণ বৃদ্ধি এবং এ ক্ষেত্রে দক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমে আসবে। এ সময় তিনি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গাইল মার্টিন বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।