ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি, একতা এবং শৃঙ্খলার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘অলিম্পিক ডে রান-২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে অলিম্পিক ডে রানের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান জানান, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বছরব্যাপী নানা ধরনের শারীরিক ও ক্রীড়া কার্যক্রম চলবে, যা দেশের বিভাগীয় শহরসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘শরীরচর্চা ও খেলাধুলা একটি সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম ভিত্তি। ঢাকায় মাঠের সংখ্যা দিনদিন কমে যাওয়ায় খেলাধুলার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। তাই অলিম্পিক ডে রানের মতো উদ্যোগ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াবে এবং শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে।’ সেনাপ্রধান আরও বলেন, ক্রীড়ামূলক এ আয়োজন শুধু স্বাস্থ্য নয়, জাতির মাঝে পারস্পরিক সম্মান, শৃঙ্খলা ও একতাও গড়ে তোলে। তাই এ আয়োজন নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, লেটস মুভ-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত র্যালির মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্রীড়াবিদ ও সর্বস্তরের জনগণকে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা এবং একই সঙ্গে অন্যদেরও ক্রীড়াচর্চায় অনুপ্রাণিত করা। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সহায়তায় একযোগে এই র্যালির আয়োজন করা হয়। ঢাকায় আয়োজিত কেন্দ্রীয় র্যালিটি সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে শুরু হয়ে শিক্ষা ভবন-বাংলাদেশ সচিবালয়-জিরো পয়েন্ট-জিপিও অতিক্রম করে জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটে এসে সমাপ্ত হয়। র্যালিতে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থা এবং সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীসহ দুই হাজারের অধিক ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অর্কেস্ট্রা দল একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত অলিম্পিয়ানদের মাঝে বিশেষ সম্মাননা ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।