২৪ মে, ২০২০ ১৪:২৯

করোনা প্রতিরোধে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকার কৌশল

ডা. মুশতাক হোসেন

করোনা প্রতিরোধে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকার কৌশল

ডা. মুশতাক হোসেন

কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি কারো মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি-র মতে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সে প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা যেতে পারে। তবে ৭ দিন অপেক্ষা করলে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার জন্য অন্যান্য সময়ের মত নিয়মিত ব্যবস্থা নিলেই চলে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিবেচনায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবার প্রয়োজন পড়ে না। 

কোভিড-১৯ সংক্রমণকে বিবেচনায় রেখে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হলে কয়েকটি বিষয়ে ভালভাবে মনোযোগ দিতে হবে। যিনি বা যারা এ কাজ করবেন তাকে বা তাদেরকে মেডিক্যাল/সার্জিক্যাল মাস্ক ও পানি প্রতিরোধী গাউন পরে নিতে হবে। ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, মেঝে, অন্যান্য উপরিতল (সারফেস) সাবান-পানি (ক্ষেত্র বিশেষে ৭০% এলকোহল দ্রবণ) দিয়ে মুছে বা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে জিনিসপত্র বা জায়গাতে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার না করে জীবাণুনাশক স্প্রে বা ধোঁয়া প্রয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। আর মানুষের শরীরে ও নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীতে জীবাণুনাশক স্প্রে করলে মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশংকা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বলেছে যে, কোনো কিছুকে যদি (মানব দেহ নয়) জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়, তবে অনুমোদিত মাত্রার ক্লোরিন দ্রবণ দিয়ে তা মুছে দিতে হবে (যেমন ঘরের মেঝে মুছে দেয়া, জুতার তলা ঘষে পরিষ্কার করা), স্প্রে বা ফিউমিগেশন নয়। মশা মারার নিয়ম আর ঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার নিয়ম এক নয়।

যখন দেশে বা নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারী ঘটে তখন নিয়মিতভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কক্ষ ও জিনিসপত্র পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে, কারো মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটুক বা নাই ঘটুক। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচ্ছন্নতা যোগ করলেই আপনি আরও নিরাপদ থাকবেন।

লেখক : রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা  প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক  কর্মকর্তা।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর