বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাত্র এক দিনের মাথায় সকল দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া।
দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা 'বার্নামা' এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার কোতাকিনাবরুতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, ''মালিকদের স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করছি।''
এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রিয়ট পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালের শেষের দিকে জিটুজি চুক্তি করে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরে এ প্রক্রিয়ায় মাত্র ১০ হাজারের মতো কর্মী যায় মালয়েশিয়ায়। যদিও মালয়েশিয়ায় যেতে ১৪ লাখের বেশি কর্মী নিবন্ধন করেন।
এ অবস্থায় গত বছর ২৪ জুন তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফরের সময় সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমাদ জাহিদ হামিদি 'বিটুবি' (বিজনেস টু বিজনেস) বা বেসরকারিভাবে ৩ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর 'জিটুজি' পদ্ধতি সংস্কার করে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও (বিটুবি) অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় উভয় দেশের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে 'বিটুবি'র পরিবর্তে 'জিটুজি' সংস্কার করে 'জিটুজি প্লাস' পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রক্রিয়াটিও নানা জটিলতায় আটকে যায়।
অবশেষে ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত 'জিটুজি প্লাস' চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার উভয় দেশের মধ্যে এ 'জিটুজি প্লাস' সমঝোতায় সই সম্পন্ন হয়। এর পরদিনই বিদেশি কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিতের ঘোষণা দিল দেশটি।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ