ভারতের আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি পানি সীমায় চীনের গণমুক্তি নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজের টহল দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। আর এর প্রেক্ষাপটে আন্দামান এবং নিকোবরে নিরাপত্তা জোরদার করছে ভারত। পাশাপাশি এ দুই এলাকায় ভারত দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে চলেছে সামরিক অবকাঠামো।
গত মঙ্গলবার আন্দামান এবং নিকোবরের কাছাকাছি পানিসীমায় চীনের ডুবোজাহাজকে সহায়তাকারী জাহাজের উপস্থিতি ভারতের রাডারে ধরা পড়েছে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকার আশেপাশে এক বা একাধিক চীনা ডুবোজাহাজ ঘোরাঘুরি করছে।
ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ দ্বীপপুঞ্জ। এর পাঁচশ’ কিলোমিটারের মধ্যেই যে কোনো সময়ে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। এ দুই এলাকায় ভারতের প্রচুর সেনাবাহিনীর সম্পদ রয়েছে। তাই এ এলাকায় চীনা নৌবহরের উপস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে ভারত।
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই বিশেষ করে গত ১২ মাসে আন্দামান এবং নিকোবরে সামরিক অবকাঠামো জোরদার করার জন্য আদাপানি খেয়ে কাজ করছে ভারত। এ এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। আরো রাডার বসানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
চীনা জাহাজের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ভারত। এ তথ্য দিয়েছেন আন্দামান এবং নিকোবর কমান্ড বা এএনসির প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল পি কে চ্যার্টাজি। তিনি আরো জানান, আগামী পাঁচ বছরে পুরো কাহিনীই পাল্টে যাবে।
পাশাপাশি তিনি জানান, আন্দামান এবং নিকোবরে নির্মাণ তৎপরতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৎপরতা এতোই ব্যাপক যে গত বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং’এর সেরা ট্রফি পেয়েছে সেখানকার ভারতীয় সেনা প্রকৌশলীর দল। ভারতের ৩৩টি এলাকাকে পরাজিত করেই এ ট্রফি অর্জন করেছে তারা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ