সুইজারল্যান্ডের আজব অবস্থা। কম পড়েছে, তাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে বর্জ্য। দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশবান্ধব সমাজ তৈরিতে মন দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। এজন্য দেশটিতে ১৯৯১ সাল থেকেই জৈব জ্বালানির ওপর বিপুল পরিমাণ কর বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বিদ্যুৎ তৈরির কাজেও নতুন ধরণের জ্বালানি দরকার হয়ে পড়ে। অপ্রচলিত উৎস থেকে বৈদ্যুৎ তৈরির শুরুটা তখন থেকেই। ক্রমে সুইজারল্যান্ডে বিদ্যুৎ তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল হয়ে দাঁড়ায় নানা ধরণের বর্জ্য, যার মধ্যে বেশিরভাগটাই বাড়িতে ব্যবহার করা প্রতিদিনের জিনিস।
গত বছর দেখা যায়, বাড়ির বর্জ্যের ৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি ১ শতাংশ গেছে অন্যত্র। এই ব্যবহার প্রণালীর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বর্জ্য কমিয়ে ফেলা যায়, তাই নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষে। সেই জন্যই দ্রুত কমে এসেছে বর্জ্যের পরিমাণ। কিন্তু তা বললে তো হবে না, এদিকে বর্জ্যের অভাবে বিদ্যুৎ তৈরির কাঁচামালে টান পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই আশেপাশের দেশ থেকে পয়সা দিয়ে বর্জ্য কিনতে শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড সরকার। সূত্র: আজকাল।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব