পাওলো জেন্টিলোনি ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাকে সরকার গড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিয়ো মাত্তারেলা। গণভোটে হারের পর গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন মাত্তেও রেনজি। তখন থেকেই যোগ্য উত্তরসুরির খোঁজা হচ্ছিল। দীর্ঘদিন রেনজির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত ৬২ বছর বয়সী জেন্টিলোনি। ২০১৪ সাল থেকে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালির জাতীয় নির্বাচন। তার আগেই দলের ভিত মজবুত করে তুলতে হবে তাকে।
দেশটির পার্লামেন্টের দু’টি কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। কিন্তু জেন্টিলোনির নিয়োগে দলের ভেতরে মতবিরোধ রয়েছে। প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও। ফাইভ স্টার মুভমেন্ট নেতা আলেজান্দ্রো দি বাতিস্তা বলেছেন, ‘নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালনা করবেন বলেই জেন্টিলোনিকে ক্ষমতায় এনেছেন মাত্তেও রেনজি। ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে সকলকে অবাক করেই একেবারে আনকোরা জেন্টিলোনির হাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে এবারও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার। তাই বেশ হিসেব নিকেশ করে জেন্টিলোনিকে নিজের জায়গায় এনেছেন। মাত্র কয়েক মাসের জন্যই তাকে নিজের আসনে বসিয়েছেন। যাতে ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারেন।’
দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের ভূমিকা এবং সংবিধান সংশোধন করতে গণভোটের ডাক দিয়েছিলেন মাত্তেও। তার যুক্তি ছিল পরিবর্তন হলে ইতালির আইন-প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গতি বাড়বে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চক্রান্ত করছেন তিনি। ভোটের ফলাফল মাত্তেওর বিরুদ্ধেই যায়। ৪ ডিসেম্বর ৭০ শতাংশ ভোটদাতার মধ্যে ৫৯.৫ শতাংশই তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেন। প্রতিশ্রুতি মতো ২ বছর ১০ মাস ক্ষমতায় থাকার পর ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন মাত্তেও।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার