ভারতে গত বুধবার বেঙ্গালুরুর কোপালে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সেখানে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেও সেখানকার পথচারীরা ব্যস্ত ছিল সেই যুবকের ভিডিও করা নিয়ে। যুবকটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ। বারবার সাহায্যের আবেদন করছে সেই যুবক। কিন্তু পথচলতি প্রতিটি মানুষ নির্বিকার। কারণ সাহায্যের বদলে দুর্ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেই তখন তারা বেশি সক্রিয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রায় ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থল থেকে যখন ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তখন ইতোমধ্যেই সে মৃত। মৃত যুবকের নাম আনোয়ার আলি (১৮)। আনোয়ার আলীর মৃত্যু ফের একবার বেআব্রু করে দিল আমাদের মানবিকতাকে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, আনোয়ার সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল। একটি সরকারি বাস পিছন থেকে তাকে ধাক্কা মারে। তখন সে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। তারপর অবিরাম সাহায্যের জন্য আবেদন করতে থাকে। কিন্তু কোন সাহায্য পায়নি সে। সেখানকার পথচারীরা মিনিট ২৫ ধরে তার রক্তাক্ত অবস্থার ভিডিও করতে থাকে।
তারপর কোপাল থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে যখন আনোয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয় তখন কর্তব্যরত চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
আনওয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তার ভাই রিয়াজ। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, ‘‘আনওয়ারকে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। সবাই ছবি তুলতে, ভিডিও করতেই ব্যস্ত ছিল। ১৫-২০ মিনিট নষ্ট হয়েছে ওখানে। আগে ওকে হাসপাতালে নিয়ে এলে হয়তো বেঁচে যেত সে।’’
বিডি-প্রতিদিন/ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০