তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন আম্মা ঘনিষ্ঠ শশীকলা নটরাজন(৬১)। রবিবার অল ইন্ডিয়া দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগাম (এআইএডিএমকে)-দলের বিধান পরিষদীয় (বিধায়ক দলের নেতা) দলের নেতা নির্বাচিত হন তিনি। এদিন চেন্নাইয়ে দলের সদর দফতরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন বিধায়করা। সেখানেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও.পনিরসেলভম বিধায়ক দলের নেত্রী হিসাবে শশীকলার নাম প্রস্তাব করেন। তার সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন অন্যান্য বিধায়করা। এরপর শশীকলাকে দলের সর্বসম্মতিতে বিধান পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। সেক্ষেত্রে তার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে.জয়ললিতার প্রয়াণের পরই এআইএডিএমকে-দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন আম্মা ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী। এবার সেখান থেকে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন শশীকলা। সেক্ষেত্রে জয়ললিতার পর ফের একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে যে কোন একটি বিধানসভার কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।
এদিকে বিধায়কদের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নিজের ইস্তফার কথাও ঘোষণা করেন ও.পনিরসেলভম(৬৫)। গত ডিসেম্বরে আম্মার প্রয়াণের পরই মধ্য রাতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন আম্মা ঘনিষ্ঠ পনিরসেলভম। কিন্তু পনিরসেলভমকে সরিয়ে তারই মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর জন্য দাবি তোলেন। এমনকি লোকসভার ডেপুটি স্পিকার এবং এআইএডিএমকে’এর সিনিয়র নেতা থাম্বি দুরাই-ও দলনেত্রী শশীকলা (চিনাম্মা বা মায়ের ছোট বোন, শশীকলাকে এই নামেই ডাকা হয়)-কে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি এও জানান, সরকার ও দলের ভার এক ব্যক্তির হাতেই থাকা উচিত।
এদিকে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরই শশীকলা জানান, ‘আমাদের আম্মার মৃত্যুর পর পনিরসেলভমই আমাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানান। এরপর উনিই আমাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিতে বলেন। তার সরকার রাজ্যের জনগণের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাবে এবং প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব