ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী বিরুদ্ধে তদন্ত করতে শুক্রবার আয়কর দফতর (আইটি)-কে অনুমতি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টও মা-ছেলের বিরুদ্ধে আইটি তদন্তের অনুমতি দিয়েছিল। পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা।
জানা গেছে, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গান্ধী পরিবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার কয়েক কোটি রুপির সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগ এনে সোনিয়া ও রাহুলসহ সাত কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে বিজেপি নেতা সুব্রামণিয়াম স্বামী মামলা করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর উদ্যোগে ১৯৩৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রবল অর্থাভাবে চার ও সাতের দশকে এই ইংরেজি পত্রিকাটির প্রকাশনা সাময়িক ভাবে কয়েকবার থমকে থাকলেও ২০০৮ সালে ১ এপ্রিল তা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। আদালতে বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়াম স্বামীর অভিযোগ, পত্রিকাটিকে উজ্জীবীত করার নামে ২০০৮ সালে প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজিএল)-কে কংগ্রেসের দলীয় তহবিল থেকে ৯০.২৫ কোটি রুপি ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণ পুরোপুরি সুদ মুক্ত ছিল। পরে ২০১০ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওয়াই আই এল) নামে একটি সংস্থা মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে ওই পত্রিকাটি কিনে নেয়। স্বামীর অভিযোগ ছিল, এজিএল এবং ওয়াই আই এল নামে এই দুই সংস্থারই মালিক আসলে কংগ্রেস নেতারা। দুইটি সংস্থার শেয়ারই নাকি সোনিয়া ও রাহুল সহ গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নামে।
স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের আগষ্টে আদালতের তরফে সোনিয়া, রাহুল গান্ধী এবং আরও পাঁচ কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠানো হয়। পাশাপাশি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস কীভাবে যুক্ত-সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশেরও নির্দেশ দেয়।
বিডি প্রতিদিন/১২ মে, ২০১৭/ফারজানা