বৃহস্পতিবার বিকেল। সুন্দরবনের বিজুয়াড়া জঙ্গলের পাশে ঠাকুরান নদীর খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরছিলেন গৌতম মল্লিক। সাথে ছিলেন স্ত্রী মীনা ও প্রতিবেশী দুইজন। সব মিলিয়ে ৪ জনের দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
মূলত গৌতমকে নিশানা করে রয়েল বেঙ্গল। গৌতমকে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে যাওয়ার সময় মীনাসহ ৩ জন বাঘের পিছু নেন। হাতের কাছে পড়ে থাকা কাঁকড়া ধরার শিক নিয়ে ছুটতে থাকেন তারা। গৌতমও বাঘের মুখ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালান।
সুন্দরবনের জঙ্গলে তখন রীতিমতো খাদ্য ও খাদকের মধ্যে অসম লড়াই। একসময় বাঘকে কাছে পেয়ে লোহার শিক দিয়ে মারতে থাকেন মীনা। কয়েকবার মার খাওয়ার পর বাঘ শিকার ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। তখন গৌতম রক্তাক্ত।
বাঘের নখের আঁচড়ে সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। গৌতমকে ডিঙিতে চাপিয়ে আনা হয় পাথরপ্রতিমার মাধবনগর ব্লক হাসপাতালে। রাত থেকে অচৈতন্য তিনি। ভোরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয় গৌতমকে।
জানা গেছে, গৌতম পাথরপ্রতিমা ভারতের সত্যদাসপুরের বাসিন্দা।
হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মীনা বলেন, জঙ্গলের বাঘের ক্ষমতা কোনওদিন দেখিনি। অনেক চেষ্টা করে তবে ছাড়াতে পেরেছি। স্বামী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে আবার কাঁকড়া ধরতে যাবেন মল্লিক দম্পতি।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত