ভারত-বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি, আথিতেয়তা রয়েছে অভিন্নতা। দ্বিপাক্ষিক এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে তরুণদের। কারণ দুই দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই তরুণ। বাংলাদেশের ৪৭ তম স্বাধীনতা দিবসের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রথম পদক্ষেপের সফলতায় অভিনন্দন জানিয়ে এ কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু ভবনে বাংলাদেশের ১০০ তরুণের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ক্ষমতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান। দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করতে বাড়ানো হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিসর।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের আন্তরিকতা প্রকাশে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে ১৪ লাখ বাংলাদেশি ভারতের ভিসা পেয়েছেন। আইসিসিআর ভারতের একটি আকর্ষণীয় শিক্ষা প্রোগ্রাম। বিশ্বের ৭০ দেশের নাগরিক ভারতের এই শিক্ষা বৃত্তি পেয়ে থাকে।’
সেই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি জানান, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধার মাধ্যমে আইসিসিআর প্রোগ্রামে অনেক জায়গা করে নিচ্ছে।’
বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার দায়িত্ব তরুণদের। তোমাদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশ পরিণত হবে স্বপ্নের সোনার বাংলায়।’
বাংলাদেশের এই সম্ভবনা সব কিছু নির্ভর করছে তরুণদের ওপর। ২০১২ সাল থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের বাংলাদেশের ১০০ তরুণ ভারত সফর করছে। বাংলাদেশি তরুণদের অভ্যর্থনা জানিয়ে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. এ.কে দুবে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের ১০০ তরুণের প্রতিনিধি দল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর