নিজের এইডস আক্রান্তের খবর প্রেমিকার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিল সে৷ কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না৷ সেটাই ঘটেছিল ফরিদের ক্ষেত্রে৷ তার ঘরের হলুদ রঙের একটি কার্ড থেকে প্রেমিকা রুথ কামান্ডে জানতে পারেন ফরিদ এইচআইভি আক্রান্ত।
এরপর দু’জনের মধ্যে তীব্র ঝামেলা৷ ‘কেন আমাকে ঠকালে’ প্রেমিকার এমন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে বিধ্বস্ত ফরিদ পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে বলে, ‘কাউকে জানালে খুন করে ফেলব৷’’ পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছায় যে ক্ষিপ্ত ফরিদ রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে রুথকে আঘাত করতে যায়৷
কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিরস্ত্র রুথ ফরিদের চোখে আঙুলের নখ দিয়ে আঘাত করলে ছুরি তার হাত থেকে পড়ে যায়৷ সুযোগের সৎ ব্যবহার করে রুথ৷ নিজের প্রাণ বাঁচাতে প্রেমিককে খুন করতে বাধ্য হয় সে৷ এক বা দুইবার নয়, প্রেমিকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে টানা ২২ বার ছুরিকাঘাত করে সে ফরিদের শরীর৷
পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রুথ৷ তবে বিষয়টি এতদিন তিনি গোপনই রেখেছিলেন৷ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে বিষয়টি সামনে আনে সে৷ আদালতে পুরো ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বিচারকের কাছে রুথ বলেন, ‘‘আমি ওকে খুব ভালবাসতাম৷ কিন্তু ও আমাকে এভাবে ঠকাবে ভাবতে পারিনি৷ বিশ্বাস করুন, আমি ওকে খুন করতে চাইনি৷ নিজের প্রাণ বাঁচাতেই আমি ওকে খুন করতে বাধ্য হয়েছি৷ না হলে ওই যে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতো!’’
প্রেমিক-প্রেমিকার ২০১৫ সালের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা তিন বছর পর প্রকাশ্যে আসায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আদালত থেকে মিস লাঙ্গাটা সংশোধনাগারে৷ বর্তমানে সেই সংশোধনাগারেই ঠাঁই হয়েছে রুথের৷ প্রেমিককে খুন করলেও আজও তাঁকে মিস করেন, নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রুথ৷
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর