নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এরই মধ্যে ১৫ মাস জেল খেটেছেন এক বাস চালক (৪২)।
১৪ বছরের কিশোরী তার বাবার নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তার বাবা তাকে কমপক্ষে ৭ বার ধর্ষণ করেছে।
২০১৭ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে বিষয়টি আদালতে গড়ালে বাস চালক ওই বাবাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি ঘটে হংকংয়ে। তবে এরই মধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ওই ব্যক্তি।
যেভাবে সত্য উদঘাটন
গত সোমবার মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। এদিন পাবলিক প্রসিকিউটর এজাহার অনুযায়ী আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “এই ব্যক্তি ২০১৫-২০১৭ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭বার তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এমনকি ঘটনা প্রকাশ করলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন তিনি।”
“শেষবার যখন ধর্ষণ করা হয় তার ঠিক পরই করা ডাক্তারি পরীক্ষায় ১৪ বছরের ওই ভিকটিমের যৌনাঙ্গে ধর্ষক বাবার বীর্য পাওয়া গেছে,” যোগ করেন ওই সরকারি কৌসুলি।
কিন্তু আদালতে মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে যায় ওই চিত্র, যখন ওই কিশোরী নিজেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সত্য প্রকাশ করে।
কিশোরী বলেন, “ঘটনাটা মিথ্যা ছিল। আমি বাবাকে জেলে বন্দি করতে নিজেই ঘটনাটি সাজিয়েছিলাম। আমার বাবা সব সময় আমার ভাইয়ের পক্ষ হয়ে কথা বলতেন। এই কারণে রাগ ও ক্ষোভ থেকে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করি।”
যৌনাঙ্গে পাওয়া বীর্য সম্পকে কিশোরী বলেন, “ওটা আমি পেয়েছিলাম আমাদের ঘরে ব্যবহার করা একটি টিস্যু পেপারে। আমি তা উঠিয়ে আমার যৌনাঙ্গে রেখেছিলাম।”
এ সময় ওই কিশোরীর বাবা কাঠগড়ায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগেই তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে জানিয়েও তার কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না।
এদিকে কিশোরীর জবানবন্দির পর আদালত ওই ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছে। কেননা, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে তার বিরুদ্ধে মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া আর কোনো সাক্ষ্য ছিল না। সূত্র: দ্য স্টার।
বিডি প্রতিদিন/কালাম