সিরিয়ার ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে সম্প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাশিয়া বলেছিল, মস্কো সিরিয়ার বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে। সেখানে আর কোনো হামলা সহ্য করা হবে না। এদিকে, রবিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় মস্কোর পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এ সমর্থন জানান।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার বার্তায় আরও জানান, অচিরেই সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন হবে এবং সে দেশের জনগণ আবার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে। তাছাড়া, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের হামলার কারণে কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের সিদ্ধান্ত পুর্নর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ এসব এয়ারলাইন্স সিরিয়ায় তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে চেয়েছিল। ইসরায়েল মাঝে মধ্যেই সিরিয়া ও তার মিত্রদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের লড়াই বিঘ্নিত করতেই ইসরাইল এসব হামলা চালায়।
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ঠেকাতে রাশিয়া দামেস্ক সরকারকে সম্প্রতি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৩০০ সরবরাহ করেছে। ইসরায়েল এর বিরোধিতা করলেও তাতে কান দেয়নি মস্কো।
উল্লেখ্য, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায় সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে সহিংসতা শুরু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
