গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী থেকে যুক্তরাজ্যের একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড৷ এ নিয়ে যখন দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে ঠিক তখনই ব্রিটেনের দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করেছে। এ ঘটনাকে উসকানিমূলক তৎপরতা বলে মন্তব্য করেছে ইরান।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রবিবার এইচএমএস ডানকান এর আগে থেকে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ মন্ট্রোজের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
রেডিও তেহরানের খবরের আরও বলা হয়, গত ১৯ জুলাই আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই হরমুজ প্রণালী থেকে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার জব্দ করে ইরান। ১৯৮২ সালের জাহাজ চলাচল বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী, সাগরে চলাচলকারী কোনো সামরিক বা বেসামরিক জাহাজ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করলে যেকোনো সামরিক জাহাজ তাকে জব্দ করতে পারে।
ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবিয়ি বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজ প্রেরণকে উসকানিমূলক তৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনের এ পদক্ষেপ ইরানের জন্য বিদ্বেষী বার্তা বহন করছে এবং এর ফলে উত্তেজনা আরো বাড়বে।
এদিকে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে পণ্যবাহী জাহাজের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যেগত সপ্তাহে সমন্বিত নৌ-প্রহরার প্রস্তাব করে যুক্তরাজ্য। হরমুজ প্রণালী থেকে যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী একটি তেলবাহী জাহাজ আটকের পর এ অঞ্চল দিয়ে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য চাইছে নিজেদের মতো করে একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে। শর্ত সাপেক্ষে এ প্রহরায় জার্মানি যোগ দিতে পারে বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ডয়েচে ভেলে।
অন্যদিকে, প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নিরাপত্তায় তেমন কাজে আসবে না। ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবেই দেশটির বার্তাসংস্থা আইএসএনএকে বলেন, ‘‘পারস্য উপসাগরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ পদক্ষেপ শত্রুতামূলক বার্তা দেয়। এটি উস্কানিমূলক এবং এ অঞ্চলের অস্থিরতা আরো বাড়াবে। আলি রাবেই আরো বলেন, ‘‘ইরান বিশ্বাস করে যে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীর নিরপত্তা রক্ষার দায়িত্ব এ অঞ্চলের দেশগুলোরই। আমরাই পারস্য উপসগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি।’
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব