ভারতের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো বুধবার সকাল থেকে আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৫এ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এটি তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। দিল্লির যন্তর মন্তরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, মোদি সরকার একসময় বলেছিল, কাশ্মীরে নির্বাচন করবে। কিন্তু কি হলো দেখা গেল। কাশ্মীরি নেতাদের গ্রেফতার করে সংসদে আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৫এ আইনকে বাতিল করা হয়েছে। অবাক লাগছে, কাশ্মীর চাই। কাশ্মীরিদের চাই না। এখন মনে হচ্ছে সরকার ইসরাইলের ‘প্যালেস্টাইন’ ফর্মুলা নিয়েছে মোদি সরকার। কাশ্মীর কি ‘গাজা ভূখণ্ড’ নাকি? প্রশ্ন ছুঁড়েছেন সীতারাম।
অন্যদিকে, আজ কলকাতায় মহম্মদ সেলিমসহ অন্যান্য বাম নেতাদের নেতৃত্বে আর্টিকাল ৩৭০ পক্ষে এবং কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার বিপক্ষে মিছিল বার করেছে সিপিএম। ধর্মতলা থেকে এই মিছিল শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত সোমবারই জানিয়েছিলেন মোদি সরকার ঠাণ্ডা মাথায় দেশের গণতন্ত্রকে খুন করেছে। দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে এই সরকার বিপদজ্জনক।
৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিএম। সোমবার রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে ৩৭০ এবং ৩৫এ নিষ্ক্রিয় করণের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সিপিএম। ঐ দিন বিকালেই পথে নেমেছে সিপিএমসহ অন্যান্য বামপন্থীদলগুলো। দিল্লি ও কলকাতাতে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল সমস্ত বামপন্থী দলগুলো। দিল্লির মিছিলে হেঁটেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সহ অন্যান্য নেতারা।
কাশ্মীরে ইচ্ছা করেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর যে চক্রান্ত মোদি সরকার করছে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে মানুষ। কলকাতায় অবশ্য সেই বিক্ষোভের মূল স্লোগান ছিল, কাশ্মীরি সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামীর মুক্তি চাই। বামদের ডাকা মিছিলে শামিল ছিল ছাত্র ও সাধারণ মানুষ। এসএফআই সারা ভারতেই ৩৭০ নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে। সীতারাম এদিন বলেন, ৩৭০ এর সমর্থনে লড়াই দীর্ঘদিন চলবে। এই লড়াই শেষ হবার নয়। এতদিন জানতাম ভারতে উগ্রপন্থী বলে কাউকে ধরতে হলে প্রমাণ লাগতো। এখন দেখছি, গ্রেফতার আগে হচ্ছে, তার পর প্রমাণ জোগাড় হচ্ছে। খবর কলকাতা 24x7 এর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক