প্রেম ও বিয়ের ঘটনায় একাধিকবার বিব্রত হতে হয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে। এমনই কয়েকটি ঘটনা নিচে তুলে ধরা হল:-
চার্লস ও ক্যামিলা
বিয়ের ১২ বছর পর ১৯৯২ সালে লেডি ডায়ানার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় যুবরাজ চার্লসের। মনোমালিন্য ছাড়াও এই বিচ্ছেদের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল চার্লসের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কার বোলস। রাজপরিবারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ২০০৫ সালে ক্যামিলাকে বিয়ে করেন চার্লস। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না চার্লসের মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার বাবা ফিলিপও।
ডায়ানা ও দোদি
চার্লসের সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীন এবং বিচ্ছেদের পরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছিলেন ডায়ানা। এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মিশরের চলচ্চিত্র প্রযোজক দোদি ফায়েদের সাথে তার সম্পর্ক। ১৯৯৭ সালে প্যারিসের যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়ানা সেই গাড়িতে তার সাথে ছিলেন ফায়েদও। ডায়ানার জীবনযাপন বিষয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অসন্তোষ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই আলোচিত হয়েছে।
রাজকুমারী অ্যান
চার্লসের ছোট বোন রাজকুমারী অ্যানের সাথেও জড়িয়ে ছিল নানা পুরুষের নাম, যার মধ্যে অন্যতম ক্যামিলার সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু পার্কার বোলসও। এছাড়া, অ্যানের স্বামী মার্ক ফিলিপসের নামও জড়ায় নানা কেচ্ছার সাথে। শুধু তাই নয়, অ্যান-মার্ক বিচ্ছেদের ফলে সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয় ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিচ্ছেদ-বিরোধিতা কমার প্রবণতা।
মার্গারেট ও পিটার টাউনসেন্ড
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোট বোন রাজকুমারী মার্গারেট। মার্গারেট প্রথম শিরোনামে আসেন পিটার টাউনসেন্ডের সাথে তার প্রেমের কারণে। সেই সময় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কারো সাথে রাজপরিবারের সদস্যের বিয়ে হওয়া ছিল অসম্ভব। পরিবারের চাপে টাউনসেন্ডকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন মার্গারেট, কিন্তু পরবর্তীতে চিত্রগ্রাহক অ্যান্টনি আর্মস্ট্রং-জোনসের সাথে তার বিয়েও সৃষ্টি করে বহু বিতর্ক।
অষ্টম এডোয়ার্ড ও ওয়ালিস সিম্পসন
মার্গারেটেরও আগে মার্কিন নাগরিক ও বিবাহ-বিচ্ছেদপ্রাপ্ত ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য রাজকর্তব্য থেকে সরে আসেন অষ্টম এডোয়ার্ড। সেই সময় রাজার আসনে বসতে চলা এডোয়ার্ডের এই পদক্ষেপ আলোড়ন তোলে। এর ফলে, তার ছোট ভাই ষষ্ঠ জর্জ রাজা হন। এডোয়ার্ড-ওয়ালিসের বিবাহ এখনও রাজপরিবারের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা হিসাবে আলোচিত হয়।
অ্যান্ড্রু
চার্লসের ছোট ভাই অ্যান্ড্রুরও পিছু ছাড়েনি বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনা। যেমন মার্কিন অভিনেত্রী কু স্টার্কের সাথে তার সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে সারা ফার্গুসনকে বিয়ে করলেও কু স্টার্কের কন্যার ‘গডফাদার’ হন অ্যান্ড্রু, যা নতুন করে খবরের শিরোনামে নিয়ে আসে তাকে।
হ্যারি ও মেগান
মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সাথে রাজপুত্র হ্যারির বিয়ের পর থেকেই চলছিল নানা রকমের জল্পনা। বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানান যে রাজকর্তব্য থেকে সরে আসতে চলেছেন তারা। রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব ছেড়ে ব্যক্তিগত জীবনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান বলে জানান এই জুটি। ইতোধ্যেই তাদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাকিংহাম প্যালেস। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/কালাম