ভারতের বহুল আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনকে খুব শিগগিরই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ৭ জানুয়ারি দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে। ২০১২ সালে ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন সেই নির্ভয়ার মা। মামলায় আসামিদের বিচার শেষ হয়েছে। বিচার শেষে এখন নির্ভয়ার মায়ের শেষ ইচ্ছে কী? তিনি কি চান?
শুক্রবার ভারতের জি নিউজ জানিয়েছে, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে তার জীবনটাই যেন বদলে গেছে। মেয়ের ওপর নৃশংস নির্যাতনের বর্ণনা শুনে শিউরে উঠতেন তিনি। ঘুম নেই, খাওয়া নেই, মনে শান্তি নেই। মেয়েকে তিল তিল করে বড় করার স্মৃতি মনে পড়ত। মনে পড়ত অনেক পুরনো কথা। মা-মেয়ের বিভিন্ন মুহুর্তের কথা। সব যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে তার কাছ থেকে। পাশবিক অত্যাচার বললেও কম বলা হবে। ছয়জন মিলে বাসে গণধর্ষণ করেছিল নির্ভয়াকে।
নির্ভয়ার মা জানিয়েছিলেন, সাত বছর ধরে কঠিন লড়াই করছেন তিনি। একের পর এক বাধা এসেছে। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। বিচার পেতে সময় লাগলেও লড়াই বিফলে যায়নি। আর লড়াই শেষে তাই তিনি বললেন, জীবনে আমার আর একটাই চাওয়া। ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহার জেলে ওই চার আসামি অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা এবং পবন গুপ্তর ফাঁসি নিজের চোখে দেখতে চাই। নির্ভয়ার মা বলেন, আমি ওই চারজনের মৃত্যুর মুহুর্তে সাক্ষী থাকতে চাই। এখন এটাই আমার জীবনে শেষ ইচ্ছে। আর কিছু চাওয়ার নেই। আমার মতো একজন সাধারণ গৃহবধূর পক্ষে এত বড় লড়াই করা সহজ ছিল না। সাত বছর ধরে একদিনও আমি শান্তিতে ঘুমাইনি। ওরা ফাঁসিতে না ঝোলা পর্যন্ত আমার লড়াই শেষ হবে না। তবে এবার শেষ সময় এসে গেছে। ওদের আর বাঁচার পথ নেই।
বিডি প্রতিদিন/ আল আমীন