সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে তুরস্ক সরকারকে অঢেল ক্ষমতা দিয়ে আইন পাস হয়েছে দেশটির সংসদে। বুধবার পাস হওয়া আইনটিতে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে তুরস্কে কার্যালয় খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করা হলে সাইটগুলোর ব্যান্ডউইথ ধীরগতির করে দেওয়া ও অনেকাংশে বন্ধ করে দেওয়াসহ কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস'র।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নতুন এ পদক্ষেপ দেশটিতে জনমত প্রকাশ ব্যাপক আকারে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
নতুন আইনটি উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, তুরস্কে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর কার্যালয় সরকারের দাবি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। সরকারি নির্দেশনায় যেকোনও কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে হবে তাদের। কোনও নির্দেশনা কার্যকর করতে তাদের হাতে সময় থাকবে ৪৮ ঘণ্টা।
নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হলে প্ল্যাটফর্মগুলোকে ৭ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
নতুন আইনটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। আইনটি অনুসারে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে তুরস্কের ভেতরেই উপাত্ত সংরক্ষণ করতে হবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান ও তার একেপি পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া আউটলেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে রেখেছে। সেগুলো নতুন আইনটির আওতায় পড়বে না।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর টম পর্টেয়াস বলেন, নতুন এই আইনটি তুর্কি সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেবে। তাদের ইচ্ছামতো কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা ও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তি পর্যায়ে টার্গেট করার ক্ষমতা দেবে।
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অনেক ব্যবহারকারীর জন্য সংবাদ পড়ার লাইফলাইন। এই আইনটি অনলাইন সেন্সরশিপের নতুন এক যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম