২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০২:২১

আসামের একমাত্র নারী মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর আর নেই

অনলাইন ডেস্ক

আসামের একমাত্র নারী মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর আর নেই

সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর

আসামের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর আর নেই। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতের এই রাজ্যের একমাত্র নারী মুখ্যমন্ত্রী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। পারিবারিক সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ায় ছেলের কাছে ছিলেন সৈয়দ আনোয়ারা তৈমুর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ছেলের বিদেশের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে আসামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আসামের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সৈয়দা আনোয়ারা। তিনি তখন আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য। ২০১১ সালে কংগ্রেস তাকে টিকিট দিতে অস্বীকার করায়, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন AIUDF-তে যোগ দেন।

যোগেন্দ্রনাথ হাজরিকার মন্ত্রিসভার পতনের পর ১৯৭৯ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আসামে চালু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। কয়েক মাস রাষ্ট্রপতি শাসনের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দিশে কংগ্রেস(ই) দলের নেত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুরকে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮১-র ৩০ জুন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন।

চার বার ভোটে জিতে (১৯৭২, ১৯৭৮, ১৯৮৩ ও ১৯৯১) একজন বিধায়ক হিসেবে ভারতের বিধানসভায় যান তৈমুর। এর মধ্যে দু-বার মন্ত্রীও হন। এছাড়া ১৯৮৮ ও ২০০৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন। আনোয়ারা সে সময় রাজ্য সরকারের বেশ কয়েক'টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা সহকারে। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত আসামের গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি) মন্ত্রী ছিলেন। তার আগে ১৯৭২ সালে শরৎচন্দ্র সিংহের মন্ত্রিসভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন আনোয়ারা। তার মৃত্যুতে এক টুইটবার্তায় আসামের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, 'আসামের উন্নয়নে সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।'


আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন এক শোকবার্তায়, সৈয়দা আনোয়ারাকে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, আনোয়ারা তৈমুরের জন্ম ১৯৩০ সালে। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৬ সালে দেবীচরণ বরুয়া মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত চার বছর ধরে ছেলের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন।

সূত্র : এই সময়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর