ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহের জনসভায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের একঝাঁক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ শনিবার একইসঙ্গে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় মমতার রাজ্যে নতুন মোড় নিয়েছে রাজনীতিতে।
বিজেপি নেতা অমিত শাহের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপি বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তছনছ করে ফেলবে। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওরা বাংলা দখল করতে চাচ্ছেন। কিন্তু বাংলা দখলের জায়গা নেই। বাংলা মুক্ত আকাশ। এখানে মানুষ শান্তিতে ও আনন্দে আছে।’
আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক সৈকত পাঁজা, গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস ও নাগরাকাটার বিধায়ক সুকরা মুণ্ডা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের তালিকায় সবথেকে বড় নাম সাবেক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার আরেক সাবেক মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল এমপি সুনীল মণ্ডল, আলিপুরদুয়ারের সাবেক তৃণমূল এমপি দশরথ তিরকেও আজ বিজেপি শিবিরে যোগ দেন।
আজ একইসঙ্গে হলদিয়া পূর্বের সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আজ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু মুসলিম নেতাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরা হলেন, তৃণমূলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সাবেক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতা অধ্যাপক ওইদুল হক, হুগলির সাবেক বিধায়ক পারভেজ রহমান, বীরভূমের নেতা করম হুসেন খান, হুগলির নেতা আলমগীর মোল্লা প্রমুখ।
আজ মেদিনীপুরের ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা অমিত শাহ বলেন, লোকসভায নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলা থেকে আমরা ১৮ জন এমপি পেয়েছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসনে জিতে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হবে। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক