১২ জুন, ২০২১ ২০:১১
বাড়ছে গরিব ও শিশুশ্রম

মহামারিতেও অতি ধনীর সংখ্যা বাড়ছেই, অসাম্যও

অনলাইন ডেস্ক

মহামারিতেও অতি ধনীর সংখ্যা বাড়ছেই, অসাম্যও

নতুন অতি ধনীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর চীন। তিন নম্বরে জার্মানি। প্রতীকী ছবি

করোনা (কোভিড-১৯) মহামারিকালেও বিশ্বে সুপার রিচদের (অতি ধনী) সংখ্যা কমা দূরে থাক, বরং বাড়ছেই। আরও ৬ হাজার মানুষ অতি-ধনী হয়েছেন এই সময়ে।

করোনাকালে প্রায় প্রতিটি দেশে লকডাউন হয়েছে। অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়েছে। অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বহু মানুষ গরিব হয়েছেন। কিন্তু বিশ্বে অতি ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে।  

নতুন অতি ধনীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর চীন। তিন নম্বরে জার্মানি। বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, করোনাও কিছু মানুষের অতি-ধনী হওয়াকে থামাতে পারেনি। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে অতি-ধনীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজারে। যার মধ্যে জার্মানি থেকে আছেন ২ হাজার ৯০০ জন। জার্মান অতি-ধনীরা বিশ্বের বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের এক দশমিক চার ট্রিলিয়ান ডলার নিয়ন্ত্রণ করেন। ২০২০ সালে তাদের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৬ শতাংশ।

করোনাকালে এই ধনীদের সম্পদের পরিমাণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। বিশ্বজুড়ে অতি-ধনীদের সম্পদের পরিমাণ ২৫০ ট্রিলিয়ান ডলার ছুঁয়েছে, যা ২০১৯-এর তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।

জার্মানিতে ক্যাশ, সেভিংস, শেয়ার, পেনশন প্ল্যান ও বিমায় ৯ ট্রিলিয়ান ডলারের সম্পদ জমা রয়েছে। যদি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ধরা হয়, তাহলে সেই সম্পদের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ২০ ট্রিলিয়ান ডলার।

এ রিপোর্টের লেখক অ্যানা জাক্রেয়স্কি বলেছেন, ''জার্মানরা সাধারণত রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে। তবে এও সত্যি, জার্মান বিনিয়োগকারীরা অ্যাভারেজ রেটের থেকে বেশি সঞ্চয় করেছেন।''

যদিও বেশিরভাগ মানুষ ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন, তাও জার্মানিতে মিলিওনেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ হাজারের মতো। সারা বিশ্বে বেড়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার জন।

করোনায় ধনী-গরিবের মধ্যে অসাম্য আরও বেড়েছে

করোনার ফলে ধনী ও গরিবের মধ্যে অসাম্য আরও বেড়েছে। বিশ্বের ৬০ হাজার অতি-ধনী মানুষ মোট বিনিয়োগের ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন। একই সময়ে বিশ্বে গরিব মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) রিপোর্ট বলছে, করোনার ফলে বেকারের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ছে। ২০১৯ সালের অবস্থায় ফিরতে বহু বছর সময় লেগে যাবে। রিপোর্ট বলছে, ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। 

সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স, ডিপিএ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ


 
 
 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর