মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে দুলাভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল ১৩ বছরের এক কিশোরীর। বোন মারা যাওয়ায় পারিবারিকভাবে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়, তবে এতে রাজি ছিলেন না ওই কিশোরী। পরে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে তেওতা ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম আলোকদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আলোকদিয়া চরের সোলাইমানের (৩২) সঙ্গে তার কিশোরী শ্যালিকার বিয়ে ঠিক করা হয়। কিন্তু কিশোরী বিয়েতে রাজি ছিল না।
তিনি বলেন, পরে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে এ খবর জানতে পেরে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেসমিন সুলতানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। সেখানে স্পীডবোড যোগে পৌঁছে ১৮ বছরের আগে ওই কিশোরীকে কোথাও বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় কিশোরীর বাবা মোদী মোল্লার কাছ থেকে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও তাকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক