কানাডার রাজধানীতে থমকে থাকা শত শত ট্রাক চালক এখনও তাদের অবস্থানে অটল রয়েছেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের দুই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই সাথে দেশটির পুলিশ কোভিড বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে চলা প্রায় তিন সপ্তাহের বিক্ষোভ ভেঙে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পুলিশ পার্লামেন্ট হিলের আশপাশ থেকে বিক্ষোভের সংগঠক তামারা লিচ এবং ক্রিস বারবারকে গ্রেফতার করেছে কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। তারা বিক্ষোভকারীদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, সংসদ ভবনের বাইরে ট্রাকচালকরা তাদের হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ করে। এ নিষেধাজ্ঞাটি সেখানকার বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য জারি করা হয়েছে।
ভদ্রতা ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য কানাডার যে সুনাম তা এ বিক্ষোভ একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের লোকজনও এ বিক্ষোভ দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে বলেছেন, এই অবৈধ এবং বিপজ্জনক কার্যকলাপ বন্ধ করার উপযুক্ত সময় এসেছে। সংসদ ভবনের একদম কাছেই ৩০০-রও বেশি ট্রাক রাখা হয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রুডো কানাডায় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। তিনি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে চলমান অবরোধকে অবৈধ ঘোষণা করতে, ট্রাকগুলোকে দূরে সরিয়ে দিতে, চালকদের গ্রেফতার করতে, তাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করেন।
প্রাথমিকভাবে কানাডায় দূর পাল্লার ট্রাক চালকদের দেশে প্রবেশের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হলে তার প্রতিবাদে ট্রাক, ট্র্যাক্টার ও মোটর গাড়ি চালকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। কিন্তু শীঘ্রই তা কোভিড বিধিনিষেধ এবং ট্রুডোর সরকারের উপর একটি বিস্তৃত আক্রমণে পরিণত হয়।
আন্দোলনটি ডানপন্থী উগ্রবাদী এবং প্রবীণদের সমর্থন পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন সশস্ত্র লোক ও রয়েছে যে কারণে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোন ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা/এনবিসি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর