১০ আগস্ট, ২০২২ ০৮:২৭

খাবারের যোগান দিতে না পেরে সিংহ নিলামে তুলছে পাকিস্তানের চিড়িয়াখানা

অনলাইন ডেস্ক

খাবারের যোগান দিতে না পেরে সিংহ নিলামে তুলছে পাকিস্তানের চিড়িয়াখানা

সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়েছে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটিতে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এমতাবস্থায় খাবারের যোগান দিতে না পারায় পাকিস্তানের একটি চিড়িয়াখানা সংগ্রহে থাকা ১২টি সিংহ নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল ও অগ্রসর প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের চিড়িয়াখানা ‘লাহোর সাফারি জু’কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চিড়িয়াখানার উপ-পরিচালক তানভির আহমেদ জানজুয়া পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ‘ডন’কে এ সম্পর্কে বলেন, “আমাদের সংগ্রহে বর্তমানে ২৯টি সিংহ রয়েছে। এর মধ্যে ১২টিকে আমরা নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১১ আগস্ট চিড়িয়াখানা চত্বরে হবে এই নিলাম আয়োজন।”

এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বাজারে প্রতিদিনই মাংসের দাম বাড়ছে।এদের প্রতিদিনের খাদ্য যোগান দেওয়ার মতো বাজেট বর্তমানে আমাদের কাছে নেই।”

জানজুয়া আরও জানান, “নিলামে প্রতিটি সিংহের নূনতম দাম দেড় লাখ পাকিস্তানি রুপি ধার্য করা হবে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, প্রতিটি সিংহ ২ লাখ রুপিরও বেশি দামে বিক্রি হবে।”

তবে টাকা থাকলেই যে কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবেন— ব্যাপারটি এমন নয়। যারা এ নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক, তাদেরকে অবশ্যই প্রাদেশিক সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং সিংহ কেনার পর তার দেখভাল করা ও যত্ন নেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে— এ বিষয়ক প্রমাণ ও নথি দেখাতে হবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে।

পাকিস্তানে অবশ্য বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ কেনার ঘটনা খুব বিরল নয়। দেশটির ধনী লোকজনদের অনেকেই নিজেদের বাড়িতে এসব প্রাণী রাখেন। এ ব্যাপারটিকে পাকিস্তানে আভিজাত্যের স্মারক হিসেবে দেখা হয়।

তবে চিড়িয়াখানার এই উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা। আন্তর্জাতিক প্রাণী সংরক্ষণবাদী সংস্থা ডব্লিউডব্লিউএফ পাকিস্তান শাখার কর্মী উজমা খান এ ব্যাপারে বলেন, “বিভিন্ন চিড়িয়াখানা নিজেদের মধ্যে প্রাণী অদল-বদল করতে পারে, কিংবা কোনও চিড়িয়াখানাকে অন্য চিড়িয়াখানা নিজেদের প্রাণী দানও করতে পারে, তাতে কোনও সমস্যা নেই।”

“কিন্তু খোলাবাজারে তাদের প্রাণী বিক্রি করা মানে বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী কেনাবেচার যে ব্যবসা চলছে, সেটিকে উৎসাহিত করা হয়। এটা প্রাণী সংরক্ষণ নীতিবিরোধী,” বলেন তিনি। সূত্র: ডন

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর