নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দিলিলপুর গ্রামে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূর হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, সুমি আক্তার (২৩) নামের ওই তরুণীকে যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সুমি আক্তারের বাবার নাম মো. আবদুর রব। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে স্বপ্ন নিয়ে সংসার শুরু করেছিল, কিন্তু সেই স্বপ্নটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার স্বামী মোঃ ইসমাইল হোসেন, শাশুড়ি হাজেরা বেগম এবং দেবর মোঃ ইয়াছিন যৌতুকের জন্য প্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।” এদিকে ঘটনার চারদিন পরও অভিযুক্ত আসামীরা গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভিকটিম পরিবার।
সুমি আক্তারের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন একটি ছাগল ও আসবাবপত্রের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অর্থ সংকটের মধ্যেও পরিবার থেকে কুরবানির জন্য ১৫,০০০ টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও তাদের লোভ মেটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ই জুন রাতে রাজগঞ্জের দিলিলপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে।
নিহতের বাবা মোঃ আবদুর রব অভিযোগ করে বলেন, “আমি নিশ্চিত, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি থানায় এজাহার দিয়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে আবেদন করছি- এই হত্যাকাÐের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যেন অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই না পায়।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবুও আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। এদিকে সুমির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম