ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা ও ভাঙচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জনকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল রবিবার এ হামলার পর বর্তমানে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ আবার প্রতিষ্ঠিত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে, ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্ডার ডি মোরেস সেনাবাহিনীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বলসোনারো সমর্থকদের সকল ক্যাম্প গুঁড়ি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সড়কে কোনো বিক্ষোভকারীকে দেখলেই পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন ও সুপ্রিম কোর্টের জানালা ও চেয়ার ভেঙে তছনছ করছে। তারা কংগ্রেস ভবনের ছাদেও উঠেছে।
গ্লোবো টিভি চ্যানেলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেও বিচরণ করছে। অনেকে সবুজ ও হলুদ রঙের কাপড় পড়েছে। এটি বলসোনারো দলের প্রতীক।
ব্রাজিলের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্টের গভর্নর ইবানস রোচা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতরা যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি পাবে।
গভর্নর রোচা লেখেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছে আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমরা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,চীনসহ জাতিসংঘের মহাসচিব এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
গত অক্টোবরের নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসেনারো। তবে তার সমর্থকেরা এই পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন লুলা দা সিলভা।
বলসোনারো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আছেন। লুলার শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এ হামলায় তার ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত