কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া অডিও বার্তায় হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এবার দিয়েছেন ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান। তিনি জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় গত ১০দিনেই ইসরায়েলের ১৮০টি যুদ্ধযান পুরোপুরি ধ্বংস বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবু ওবায়দা জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চোখে চোখ রেখে লড়ছে এবং তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও করছে। তিনি আরো দাবি করেছেন, অনেক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। আবু ওবায়দার দাবি, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ছে। দিনকে দিন তারা ভয়াবহ বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে। আর এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশাও বাড়ছে। এই বিবৃতি হামাস মুখপাত্র সাফ করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের শর্ত না মানা হলে আর একজন জিম্মিকেও তারা মুক্তি দেবেন না।
এরপর ইসরাইলের জন্য আরো ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আল কাসামের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার মতে, কেবল সিনেমার ট্রেলার দেখছে ইসরায়েল। হামাসের হাজার হাজার যোদ্ধা এখনো রণাঙ্গণে নামার জন্য প্রস্তুত। ১৭ দিন পর সরাসরি হাজির হলের আবু ওবায়দা। এর আগে তার অন্তরাল নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিছু গণমাধ্যম দাবিও করেছিল হামাসের সামরিক শাখার এই মুখপাত্র ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে। এই বক্তব্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দাও করেন আবু ওবায়দা।
তার এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই হতাহত সেনার সংখ্যা হালনাগাদ করে ইসরায়েল। তেল আবিবের সামরিক দপ্তর জানিয়েছে গাজার রণাঙ্গণে ইসরায়েলের ৯৭ সেনা নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৫৬৯ জন। আর সবমিলিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ৪২৫ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়ে প্রায় ১৬শ’ জন। যদিও হামাস বলছে এই সংখ্যা মোটেও সঠিক নয়। ইসরায়েলি আরো কয়েকগুণ বেশি সেনা হতাহত হয়েছে। আর ইসরায়েলি একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ হাজারের বেশি আহত ইসরাইলি সেনা হাসপাতালে ভর্তি। যাদের মধ্যে দুই হাজারের অবস্থা গুরুতর।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল