শান্তিতে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি ও কয়েকজন নারী বন্দী ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে রক্ষীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন
নার্গিসের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক বন্দীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা কেন্দ্র করে কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দীদের মারামারির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর কারাবন্দী নার্গিসের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তার পরিবার।
ইরানি কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার এভিন কারাগারে মারামারির কথা স্বীকার করেছে। এ জন্য নার্গিস মোহাম্মদিকে একজন ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বন্দীদের মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
নার্গিসের বয়স ৫২ বছর। ২০২৩ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ইরানে মৃত্যুদণ্ড ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করায় তিনি সম্মানজনক এ পুরস্কার পান।
২০২১ সালের নভেম্বর থেকে নার্গিস কারাগারে আটক। তবে এর আগে গত এক দশক ধরে বিভিন্ন সময় তাঁকে আটক করা হয়েছে। মুক্তিও দেওয়া হয়েছে।
নার্গিসের পরিবারের সদস্যরা ফ্রান্সের বসবাস করেন। তাদের অভিযোগ, নার্গিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। এমনকি ফোনে কথা বলারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে অন্যান্য বন্দীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কারাগারের ভেতরের এই ঘটনা শুনেছেন তারা। ফাঁসি কার্যকরের ঘটনার পর কারাগারে থাকা নারী বন্দীরা কারা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন।
অধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ইরানে গোলামরেজা রাসেয়িসহ প্রায় ৩০ বন্দীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে গত মঙ্গলবার তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
ওই দিনই এক বিবৃতিতে নার্গিসের পরিবার জানায়, গোলামরেজা রাসেয়ির ফাঁসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক মারামারি-সংঘর্ষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল