চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন।
বৃহস্পতিবার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
এদিকে দেশটিতে সামরিক আইন ঘোষণা ও পরে তা প্রত্যাহারের পর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিরোধীদলের আইনপ্রণেতারা।
শনিবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অভিশংসনের বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ আসনের প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে পার্লামেন্টে বিরোধীদের ১৯২টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও প্রস্তাবটি পাস করাতে শাসক দলের ১০৮ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে অন্তত আটজনের সমর্থন প্রয়োজন।
তবে, শাসক পিপল পাওয়ার পার্টি অভিশংসনের বিরোধিতা করবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে। একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ তার অভিশংসন চায়।
পদত্যাগ করা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন, যার পদত্যাগ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রহণ করা হয়েছে, তিনি গত মঙ্গলবার রাতে পার্লামেন্টে সেনা মোতায়েনের আদেশ দিয়েছিলেন।
পরে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেছেন যে, তিনি ‘সমস্ত বিশৃঙ্খলার দায় নেবেন’। তবে বিরোধী মত দমন করতে মার্শাল ল আরোপ করেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইউন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা চোই বিয়ং-হিউককে মনোনীত করেছেন, যিনি বর্তমানে সৌদি আরবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ