ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া যুদ্ধ দেশ দুটির রাজনৈতিক ইস্যুকে ছাপিয়ে যেন ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান আর চীনের জে-১০সি ভিগরাস ড্রাগন যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্বে লড়াইয়ে পরিণত হয়। খবরটি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর দাবি, তারা আকাশপথে সংঘর্ষের সময় একাধিক ভারতীয় রাফাল বিমান ভূপাতিত করে। সত্যিই এমনটি হয়ে থাকলে এটি হবে ফরাসি ডেস্যু কোম্পানির তৈরি বিমানের প্রথম পরাজয়, আর পশ্চিমাদের যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক শক্তির প্রথম বিজয়। যদিও রাফাল ধ্বংস হওয়া নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও থেমে নেই আলোচনা। ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘাতে ‘রাফাল ধ্বংস’ কেন্দ্রিক সে আলোচনায় নাম জড়িয়েছে ‘আয়েশা ফারুক’ নামের এক পাকিস্তানি নারী পাইলটের।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পাইলট আয়েশার আক্রমণে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ভারতের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের রাফাল যুদ্ধবিমান। তারই নিখুঁত নিশানায় নাকি গত ৬ থেকে ৭ মে রাতের মধ্যে ভারতীয় রাফাল পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। যদিও এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা আয়েশা ফারুক ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাইলট হিসেবে অংশ নিয়েছেন- এমন কোন খবর পাকিস্তান বা বাইরের কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
ফ্যাক্ট চেক সূত্র বলছে, বিষয়টি নিয়ে শুধুমাত্র গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ইংরেজি ওয়েবসাইট ‘২০১৩ সালে ডিডব্লিউকে দেয়া নারী পাইলট আয়েশা ফারুকের একটা সাক্ষাৎকারকে বিভ্রান্তিমূলকভাবে’ নতুন করে প্রকাশ করেছে। সেখানে আয়েশার রাফাল যুদ্ধবিমান ফেলে দেয়ার মনগড়া গল্প জুড়ে দেয়া হয়েছে। আয়েশার ছবিটিও নেয়া হয়েছে ডিডব্লিউর সেই পুরনো প্রতিবেদন থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ