ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার মিত্রদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে মার্কিনিদের। তাদের মতে, যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও ইপসোস পরিচালিত একটি নতুন জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তিন দিনব্যাপী পরিচালিত ওই জরিপটি গত রবিবার শেষ হয়। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া ৬২ শতাংশ মার্কিনি রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। এই কৌশলটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আংশিকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং তিনি চীনসহ অন্যান্য দেশের ওপরও এটি প্রসারিত করার হুমকি দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুরোদমে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাতের জন্ম দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, যার মধ্যে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ইউক্রেনীয়।
গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তবে তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথম দিনেই সংঘাত বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিততে চান ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ভারত ক্রমাগত রাশিয়ান তেল কিনে ক্রেমলিনের যুদ্ধের মূল অর্থসংস্থান যোগান দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন মস্কোর ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বাড়াতে চীন (রাশিয়ার তেলের বৃহত্তম ক্রেতা), তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করে এমন অন্যান্য দেশের ওপরও উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
রয়টার্স/ইপসোস জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের ৭৬ শতাংশ রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে। অন্যদিকে, ডেমোক্রেটদের মধ্যেও ৫৬ শতাংশ এই নিষেধাজ্ঞার সমর্থন করেছেন।
জরিপে অংশ নেন ১,০২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক। এর সামগ্রিক ফলাফলে ত্রুটির হার ছিল ৩ শতাংশ। তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের জন্য এই ত্রুটির হার ছিল ৬ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ