ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেয়ারু সোমবার বলেছেন, আসন্ন আস্থা ভোটে ফ্রান্সের ভাগ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি বাজেটের অচলাবস্থা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি ভোটে হেরে যাবেন।
চারটি সংবাদ চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে বেয়ারু বলেছেন, সংসদে ৮ সেপ্টেম্বরের ভোট ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য’ নয় বরং ‘ফ্রান্সের ভাগ্য’ নির্ধারণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার ফ্রান্সকে হতবাক করে বলেছেন, তিনি একটি বিভক্ত সংসদে ভোটের অনুরোধ করবেন। কারণ, তিনি তার সংখ্যালঘু সরকারের ব্যয় কমানোর পরিকল্পনার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন- যদিও বিরোধী দলগুলো বলছে, তারা তাকে সমর্থন করবে না।
৭৪ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সইনফো, এলসিআই, বিএফএমটিভি এবং সিনিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি মনে করি সামনের দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যদি ভেবে থাকেন, আমি যে লড়াইগুলো লড়ছি, যে লড়াই আমি এখানে লড়ছি, যে লড়াই আমি বছরের পর বছর ধরে লড়ছি এবং ভবিষ্যতেও লড়তে থাকব, তাহলে ভুল ভাবছেন।”
এরআগে সোমবার সমাজতান্ত্রিক নেতা অলিভিয়ার ফাউর বলেছিলেন, বেয়ারুর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
ফাউর প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “আমি এখন তাকে বিদায় জানানোর জন্য অপেক্ষা করছি।”
বেয়ারু বলেছেন, ফ্রান্সের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এবং দেশের ঋণ কমাতে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
তিনি বলেছেন, তিনি ছুটির সংখ্যা হ্রাস এবং ব্যয় বৃদ্ধির ওপর স্থগিতাদেশ অন্তর্ভুক্ত করে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো (৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সাশ্রয় করতে চান।
কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত অজনপ্রিয় প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুসারে, ১০ জনের মধ্যে সাতজন ফরাসি নাগরিক বলেছেন, তারা বেয়ারুকে আস্থা ভোটে হারাতে চান। বেয়ারুর জুয়া আশঙ্কা জাগিয়েছে যে, ফ্রান্স রাজনৈতিক ও আর্থিক অস্থিতিশীলতার একটি নতুন সময়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।
রবিবারের শুরুতে বক্তৃতাকালে বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে একটি আপস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতা চার্লস ডি গলের উত্তরাধিকার ঝুঁকির মুখে পড়বে।
ডারমানিন এক বক্তৃতায় বলেছেন, “জেনারেল ডি গলের প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মুখে পড়বে যদি আমরা চতুর্থ প্রজাতন্ত্রের অস্থিতিশীলতার দিকে ফিরে যাই। সেখানে সরকার এসেছিল এবং গিয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিশ্চিত ছিল না, যেখানে প্রশাসনের কোনও নেতা ছিল না।” সূত্র: ফ্রান্স২৪, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ