দুইদিন ধরে অস্থিরতা চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেপালে সেনা মোতায়েন হয়েছে। পাশাপাশি সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে বাসিন্দাদের চলাচল, জমায়েত, মিছিল ও সমাবেশের ওপর। বিভিন্ন স্থানে চলছে বিশেষ অভিযান।
দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংসাত্মক ও অরাজকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া ৩৭ লাখ ৩০ হাজার নেপালি রুপি।
এছাড়া, কাঠমান্ডু থেকে ২৩ ও পোখারা থেকে ৮টি মিলিয়ে মোট ৩১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, সঙ্গে ম্যাগাজিন ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সেনাবাহিনীর জনসংযোগ ও তথ্য অধিদপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভা, সমাবেশ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি হবে। যেটির ব্যাপ্তি নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়বে, কমবে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অরাজকতা সৃষ্টিকারীরা প্রবেশ করেছে। তারা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সহিংস হামলা এমনকি যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়া গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আজও বন্ধ থাকছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ