পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশজুড়ে পুলিশ স্টেশন, রেলওয়ে লাইন ও মহাসড়কের গাড়িতে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা গতকাল এ কথা জানিয়েছেন। কয়েক বছরের মধ্যে এটিই জাতিগত বিদ্রোহীদের চালানো সবচেয়ে ব্যাপক পরিসরের হামলা। এর মধ্যে বাস থামিয়ে বেছে বেছে যাত্রীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অনেককে। ইতোমধ্যেই লাশগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বড় বড় মহাসড়কগুলোর বাস থেকে শুরু করে মালবাহী ট্রাকগুলোতে। এসব হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ১০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার রেললাইন, প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার সঙ্গে একটি সংযোগ সেতুও বোমা হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাশিফ। কোয়েটার সঙ্গে রেলওয়ে ট্রাফিক বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ বলছে, রেলওয়ে সেতুতে হামলাস্থলের কাছ থেকে তারা ছয়টি লাশ পেয়েছেন। তবে সেগুলো চিহ্নিত করা যায়নি।
রবিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও নিরাপত্তা ফাঁড়িগুলোতে হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রেডিও পাকিস্তান বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে। এতে ১২ জন জঙ্গি নিষ্ক্রিয় হয়েছে। সব জঙ্গিকে নির্মূল না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে। এতে আরও অনেক জায়গায় হামলারও দায় স্বীকার করা হয়, যার মধ্যে আছে একটি প্যারামিলিটারি ঘাঁটি।
যদিও পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এ হামলার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করে জানায়নি। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে কয়েকটি বেলুচ জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে বেলুচ বিদ্রোহীরা।